সাতাশ বছর পর!!

 সাতাশ বছর পর!!

আবার সাতাশ বছর পর!! ১৯৯১ মাধ্যমিক। বর্ধমান সি. এম. এস হাই স্কুল। (প্রথম বছর) প্রায় ২৭ বছর বাদ আমরা এ বছর প্রথম আবার একসাথে হলাম, আমাদের কয়েক জন বন্ধুর উদ্যোগে। বলতে গেলে প্রায় তারাই আমাদের আবার আমাদের সেই স্কুল এর বন্ধুদের এক করলো। অনেক অনেক ভালো লাগা, অনেক মন ভালো করা সময়ে ফিরে গেলাম আমরা আবার আজ এই 'বন্ধুত্বের দিন' এ, '৫ ই অগাস্ট', ২০১৮। কিভাবে কেটে গেল গোটা একটা দিন, কিভাবে সময় পেরিয়ে গেল বুঝে ওঠার আগেই দিন ফুরিয়ে গেল। বার বার সবাই সেই ফিরে যাচ্ছিলাম স্কুলের দিন গুলোতে - সুধীর দাঁ এর মতো মানুষ এর কথা, বিজয় বাবু, রামসধন বাবু, মুনমুন বাবু, দীপ্তি বাবু, সিরাজ বাবু, দিলীপ বাবু, পার্থ বাবু, অনিল বাবু, স্বপন বাবু - কেউই প্রায় বাদ যাচ্ছিলেন না আজকের এই আড্ডায়। সবাই সবাইকে হয়তো নামে চিনতে পারলেও মুখ আর শরীর দেখে চিনতে পারছিলাম না, কিন্তু কোন এক ঘটনার সূত্রে আবার মনে পরে যাচ্ছিলো," আরে! তুই! এমা, কিরকম পাল্টে গেছিস"। বা কারোর সাথে দেখা হবার পর, "আরে! তুই তো সেই একই রকম আছিস"। "আরে!, তোর তো সব চুল উঠে গেছে"। বারবার ভুলে যাচ্ছিলাম, আজ আমরা সবাই চল্লিশ পার করে ফেলেছি। কিন্তু মনে হচ্ছিলো সেই যেন ক্লাস টেন এর 'এ' আর 'বি' সেকশন একসাথে বসেছি টিফিনবেলায় মাঠে আড্ডা দিতে বসেছি। এখুনি সুধীর বাবু ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন আর আমরা ছুটে যাবো ক্লাস এর দিকে। এখানে যদিও উনি ছিলেন না, কিন্তু আমাদের বউ আর ছেলেমেয়েরা সেই কাজই করছিলো। 'এই খেতে এসো', 'এই নীচে এসো', 'এই ওকে ডাকো'!- এই নিয়েই আমরা ছিলাম আমাদের সেই পুরোনো দিনে মজে। আজ আমরা ছিলাম যারা: সৌরভ ঘোষ, ফাল্গুনি চাকলাদার, অমিত দে, মুজিবর রহমান, রোহিত নাথ বাকচি, চিরঞ্জীব ঘোষ, সুদীপ চক্রবর্তী, অমিতাভ চৌধুরী, মিরাজ সেখ, আসগর আলি, আশিষ গাঙ্গুলি, কৌশিক চ্যাটার্জী, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, সুখেন্দু রুদ্র, রঞ্জিত হালদার, আব্দুর রসিদ, অভিজিৎ গণ, সুকল্যান ঘোষাল, নব কুমার দাস, সোমনাথ গোস্বামী, সুসান্ত ঘোষ, কৌস্তুভ ঘোষ চৌধুরী, পার্থ মুখার্জি, রূপেস সরকার, কৌশিক চক্রবর্তী, বাসুদেব, আর আমি সাগর দাঁ। আর একজনের খুব ইচ্ছা ছিল, তাও সে থাকতে পারেনি, সে হলো সৌমাভ চন্দ্র। তাই সারাদিন ই মাঝে মাঝে ভিডিও চ্যাট এ ছিলো। আবার আমাদের একসাথে হবার দিন ঠিক হয়েছে আগামী ৬ ই জানুয়ারী, ২০১৯ এ। যারা আজ আসতে পারলি না, তাদের কে বলছি এই দিনটা ডাইরি তে লিখে রাখ। পরের বার অব্যশই আসতে হবে। আমার মতো অকর্মন্য দু একজন যারা কোনো কাজ করিনি, তাদের পক্ষ থেকে এবং সবার পক্ষ থেকে আমি সৌরভ আর চিরঞ্জীব কে ধন্যবাদ দেব শুধু এরকম ভাবে আমাদেরকে একসাথে করার জন্য। হয়তো পরের বার থেকে ঠিকঠাক ভাবেই চলবে, কিন্তু এই প্রথমবার এর জন্য বলি: বন্ধু, ধন্যবাদ। তোরা না থাকলে শুরু করাই যেত না!! হয়তো সবাই থাকবো না, আরো অনেক জন একসাথে এসে যোগ দেবে আমাদের সাথে। এবার আমরা ৬৭ জন ছিলাম পরিবারসহ। পরের বার আমার অবশ্যই ১০০ জন থাকবো। যাদের ছবি আমি বাদ দিয়ে ফেলেছি ভুলবশত তারা কিছু মনে করিস না। পরের বার হবে। আর জাদের ছবি ভাল হয় নি, তার জন্য আমি দুঃখিত । সেটাও পরের বার ভালো হবে। ভাল থাকিস সবাই। আমি সবাই কে ট্যাগ করতে পারিনি, একটু নিজেরা ট্যাগ করে নিস।






Comments

Popular Posts