 |
কানপুর এর সেই দিনগুলো....
|

একটু আগেই ছবি গুলো পোস্ট করেছি। যদিও এই পোস্ট করার সব কৃতিত্ব দিব্য র।
ওর অনুপ্রেরণা আমায় এই ছবি গুলো পোস্ট করার সাহস দিয়েছে। যদিও ওর একটা কথা
আমি শুনি নি, সব ছবি গুলো একসাথেই পোস্ট করেছি। কারণ বাকি রা আর কেউ না
দেখলেও আমি জানি আমরা কয়েকজন সব ছবি গুলো বার বার ঘুরে ফিরেই দেখবো। আসলেই
এগুলো তো শুধু ছবি নয় আমাদের কাছে, এগুলো এক একটা আমাদের গড়ে ওঠা জীবন এর
এক একটা গল্প। আর এই গল্প মনে করিয়ে দেওয়া কাল দিব্য শুরু করেছিল আর আ
জ আমি আর একটু নতুন করে উস্কে দিতে চাইলাম।
না, কোনো কিছুই হারিয়ে যায় নি আমাদের কারোর জীবন থেকে এই দিনগুলো, সে আজ
আমরা যে যেখানেই থাকি। একজন আমায় সেই দিন বেড়াবার সময় বলেছিলো, "সাগর ,
দেখিস আজ হয়তো বেড়াতে এসে সব কিছু ভালো লাগছে না, বা সব কিছু তোর মনের মতো
হচ্ছে না, কিন্তু দেখিস আজ থেকে অনেক দিন বাদ যখন সংসার এ পুরো ডুবে যাবি
তখন কোনো একদিন শীতকালের সকাল এ এই ছবি গুলো দেখলে বা এই বেড়ানো মনে করলে
তোর সব ভালো লাগবে, মন ভালো হয়ে উঠবে"। হয়েছে, সত্যিই হয়েছে। আজ সকাল এর
রোদ এ বসে সেই দিন গুলো ভাবতে ভাবতে সত্যিই মন ভালো হয়ে গেল।
ডিসেম্বর
এর চরমতম ঠান্ডায় কানপুর এ আমরা যে দু বছর ছিলাম সেই দু বার ই আমরা বেড়াতে
গিয়েছিলাম। এই বার সেই রকম ই কিছু ভেবেই বেরুলাম রাত দশ টা, কানপুর
সেন্ট্রাল এর পাশে বাস স্ট্যান্ড থেকে। খাজুরহ, পান্না, আর শেষ দুদিন
কানপুর ফিরে এসে লখনৌ। এখানের ছবি গুলো সবই খাজুরহ আর তার পাশাপাশি কিছু
জায়গায়। লখনৌ না হয় আর এক দিন হবে। ভোর বেলায় গরম আলু কা পড়াটা সাথে লঙ্কার
আচার, গাড়ির চাকা পাল্টানো, গাছ বাড়ী তে রাত কাটাবার প্ল্যান ( যদিও আজও
সেই প্ল্যান ই রয়ে গেছে), পান্না ডায়মন্ড মাইনসে মেদিনীপুরের কাকু কে ধরে
ভিতরে ঢুকে সত্যি সত্যি ডায়মন্ড দেখা, একটা গেঞ্জি তিনজনে তিনবার পরে ছবি
তোলা (ছবি গুলো ভালো করে দেখলেই দেখা যাবে), খাজুরহ মন্দির গুলোর প্রেম এ
পড়ে দিনে রাত্রে দুবার করে দেখা, রাত্রে বন্ধুর জন্মদিন এ স্পেশাল ডিনার,
এরকম আরো আরো কত কত মনি মুক্ত ছড়ানো সেই বেড়ানো ছিলো!!!
কানপুর আমাদের সবার কাছেই গল্পময়।
Comments