'নন-সেন্স' কথামালা।।(৩) **** গন্ধ। গন্ধ আমি লালন-পালন করি সতত।।

'নন-সেন্স' কথামালা।।(৩)

গন্ধ। গন্ধ আমি লালন-পালন করি সতত।।



"Here's the smell of blood still. All perfumes of Arabia will not sweeten this little hand." (Macbeth, Act V, Scene i)
লেডি ম্যাকবেথ পেয়েছিল। আমরাও জীবনে কখনো না কখনো পাই এই রক্তের গন্ধ। প্রাত্যহিক জীবনে রক্তের গন্ধ না থাকলেও ছোট থেকে মিশে যায় নানা গন্ধ আমাদের রক্তের সাথে। ছোট থেকে মিশতে মিশতে গন্ধগুলো আমাদের শরীর-মনে একাত্ম হয়ে যায়, তারপর আবার আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। জীবন বয়ে চলে। তারপর একদিন কোনো একসময় হঠাৎই কোনো এক কাজের ফাঁকে পেয়ে যাই সেই গন্ধ। মনে পড়ে যায় তার উৎস, তার প্রতি ভালোবাসা, কিভাবে ধীরে ধীরে তা মিশে গিয়েছিলো রক্তের সাথে। আর এতদিন বাদ ফিরে এসে তা যেন নিস্তরঙ্গ জীবনের পুকুরে ঢিল ফেলে ঢেউ তোলার বৃথা চেষ্টা করে। ফিরে পেতে চাই সেই দিনগুলো, হাতড়াতে থাকি। ঠিক যেন ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখা কোনকিছু আঁকড়ে ধরতে চাই। নিষ্ফল প্রচেষ্টা শেষ হয়, পারি না। শেষ পর্যন্ত ভালো লাগার রেশটুকু নিয়েই যেন ঘুম থেকে ওঠার মতো করেই বাস্তব জীবনে ফিরে আসি।
জীবনের প্রতি পদে প্রতিটা গন্ধ আমায় নাড়া দিয়ে গেছে, সেই গন্ধরা আবার ফিরে ফিরে আসে। আমি পাগলের মতো ধরতে চাই, আবার তারা নতুন ভাবে ফিরে আসে। এ এক অদ্ভুত খেলা। চেষ্টা করি অনুভব করতে। মনের গভীর থেকে উঠে আসে দীর্ঘশ্বাস, ফেলতেও পারি না আবার নতুন এই গন্ধকে ধরতেও পারি না। শুধু একাকার হয়ে যায় পুরোনো হারিয়ে যাওয়া সোঁদা গন্ধ যা এতদিন লালন পালন করে এসেছি তার সাথে আজকের এই কঠিন তীব্র নাক জ্বলিয়ে দেওয়া ঝাঁজালো গন্ধ, যা হয়তো আমাকে এক ধাক্কায় আমার সেই ছোট বেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু তার সহাবস্থান কখনো মধুর হয়ে ওঠে না।
দিদুর গায়ে পান-জর্দা আর ভালোবাসার গন্ধ যা ছোটবেলা থেকে পেয়ে এলাম আজ বড় হয়ে পানের দোকানে সিগারেট কিনতে এসে প্রতিবার ধাক্কা খাই সেই একশো বিষ জর্দার গন্ধে, যা কেমন করে পাল্টে গেছে। সেই সুখের গন্ধ আজ দিদুর সাথে সাথেই হারিয়ে গেছে। বুঝি, কোলে বসে গলা ধরে সন্ধ্যে কাটানো গন্ধ কেমন করে আমার পাড়ার মোড়ে পান দোকানে পাওয়া যাবে! সন্ধ্যা শেষে তোলা উনুনে রান্না শেষ করার পর মায়ের জল ছড়িয়ে উনুন বন্ধ করার পর বাষ্পময় গরম মাটির সোঁদা গন্ধ আমি আজও অনেক রাস্তার ধারে ভাতের হোটেলে হয়তো বা পাই, কিন্তু কোথায় যেন কি একটা নেই মনে হয়। পাড়ার পাশে অনাদি বেকারীর পাশ দিয়ে স্কুল থেকে ফেরার সময় বিকালে খিদেয় মোচড় দেওয়া পেটে প্রতিদিন পেতাম গরম পাঁউরুটির গন্ধ, যা আজ প্রতিদিন সকালে টোস্টারে সেঁকা গরম ব্রাউন ব্রেড এ খুঁজলেও পাই না। বিকালে বাগাঢুলি খেলে জেতা শোন-পাপড়ির গন্ধ আজ আর হলদিরামের প্যাকেট শোন-পাপড়িতে পাই না। শীতকালে তুহিনা আর নিভিয়া আর শুতে যাবার আগে মায়ের জোর করে বোরোলিন মাখিয়ে দেওয়ার গন্ধ রা আজ হারিয়ে গেছে ড্রেসিং টেবিলের অজস্র ক্রিমের ভিড়ে। নিজের মাখা জনসন এন্ড জনসন ক্রিমের গন্ধের সাথে ছেলের জনসন এন্ড জনসন ক্রিমের গন্ধ কত আলাদা মনে হয়। কিউটিকুরা পাউডারের গন্ধ তো কবেই হারিয়ে গেছে ওয়াইল্ড স্টোন আর পার্ক এভিনিউ এর মেনস আর উমেন্স ক্যাটাগরির চক্করে।
এই গন্ধগুলো নিয়েই বড় হলাম। অনেক নতুন গন্ধের স্বাদ ভুলিয়ে দিল পুরোনো গন্ধ কে। তারাও আসতে আসতে হারিয়ে যেতে থাকলো। জীবনে প্রথম প্রেমের গন্ধ, প্রথম চুম্বনের গন্ধ, প্রথম সিগারেটের গন্ধ, প্রেমিকার চুলের গন্ধ, গ্রীষ্মের দুপুরে গোটা পাড়া ঘুমিয়ে পরার পর একাকীত্বের গন্ধ, কোকিল ডাকা বসন্তে বাতাসের গন্ধ, পুজো আসার আগে মন ভালো হয়ে যাওয়া গন্ধ, প্রথম মদের গন্ধ, প্রথম শরীরের গন্ধ: কোনকিছুই আজ আর ফিরে আসে না যদিও সবই আছে আমার জীবনের সাথেই।
অনুভূতিগুলো বড় একমুখী আজ। একই ধরণের। বড়ই
ম্যাড়-ম্যেড়ে, খুবই যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে সবকিছুই আজ।
জীবনে প্রথম মাংস-রক্ত পোড়া গন্ধ পেয়েছিলাম সাত বছর বয়সে, গ্রামে থাকাকালীন। ওপাড়ার পরমকাকার গোয়ালে আগুন লেগেছিল। গরু-মোষ-ছাগল কোন কিছুই বাঁচানো যায় নি সেই রাত্রে। আর পরের দিন সকালে পরিষ্কার করার সময় আগুনে পোড়া ভেজা খড় এর গন্ধ কে ছাপিয়ে উঠেছিল মাংস পোড়া গন্ধ। বহুদিন পার করে যখন এই শহরের দামী রেস্টুরেন্টে চিকেন তন্দুর নিয়ে বড়দিন যাপন করতে গিয়েছিলাম তখনই পেটের ভিতরটা গুলিয়ে উঠেছিল, চোখের সামনে একটার পর একটা দৃশ্য পার হয়ে যাচ্ছিল, আর মাংস পোড়ার তীব্র ঝাঁঝ যেন নাকে-মুখে ঝাপটা মারছিল। বহুদিন আমি তন্দুর মুখ দিতে পারি নি। তারপর একসময় কেমন যেন সয়ে নিলাম সবই। তন্দুর মাংস আমার প্রিয় খাবার হয়ে উঠলো।
খড়ের চালে বৃষ্টির গন্ধ, কালবৈশাখীর পর লাল-মাটির রাস্তায় বৃষ্টির গন্ধ, বর্ষাকালে একটানা তিনদিন বৃষ্টির গন্ধ, আমার গ্রামে চাষ হওয়া সবুজ মাঠে বৃষ্টির গন্ধ, এই শহরে সন্ধ্যায় বৃষ্টির গন্ধ, পাহাড়ী নদীতে দুপুরে চান করতে নেমে বৃষ্টির গন্ধ, পাহাড়ী বুনো জঙ্গলময় রাস্তায় আকাশ ভেঙে আসা বৃষ্টির গন্ধ, কাঠের বাড়িতে বৃষ্টির গন্ধ, উত্তাল সমুদ্রে প্রবল বৃষ্টির গন্ধ, দিগন্ত বিস্তৃত বেলাভূমিতে ছিপ-ছিপে বৃষ্টির গন্ধ: শুধু বৃষ্টি একাই আমায় তার গন্ধে মোহিত করে রেখেছিল আমার ছেলেবেলা থেকে বড়-বেলা হয়ে ওঠার সময়ে। আর আজ এ এক অদ্ভুত সময়, সব গন্ধরা যেন কেমন করে গুলিয়ে যায়, ধরতে পারি না। শুধু যেন সময়ের সাথে কড়া নেড়ে ফিরে যায়, আর আমায় অনুভব করতে দেয় না।
প্রতিনিয়ত জীবনের পথে কতো ভালোবাসার গন্ধ আমাদের মোহিত করে রাখে। সারাজীবন এই ভালোবাসার গন্ধরাই তো আমাদের চালিয়ে নিয়ে যায়। প্রতি মুহূর্তের প্রতিটি ভালোবাসার নিজস্ব গন্ধ আছে। মায়ের ভালোবাসার গন্ধ, বাবার ভালোবাসার গন্ধ, ভাই-বোনের ভালোবাসার গন্ধ, বন্ধুর ভালোবাসার গন্ধ, প্রেমিকার ভালোবাসার গন্ধ, না-বন্ধুর ভালোবাসার গন্ধ, না-প্রেমিকার ভালোবাসার গন্ধ; সবাই স্বতন্ত্র। সবাই আলাদা করে একটা করে নতুন গল্প শোনায় জীবনে চলার পথে। অন্যের গল্প হয়ে যায় নিজের গল্প।
মিজোরামের এক ছোট গঞ্জ-টাউনে আমি জীবনের কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। পাহাড়ের ঢালে ছোট দু-তলা বাড়ী, কাঠের বারান্দার সামনে দিয়ে নীচে খরস্রোতা নদী বয়ে যেত। আর প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে দেখতাম সূর্য ওঠার সাথে সাথে নদী বক্ষ থেকে মেঘের দল যখন আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে ঠিক তখনই আমি ওই নদীর এক অদ্ভুত গন্ধ পেতাম যা মনে হতো কেমন যেন চনমনে করে দিতো আমায়। তারপর বহু পাহাড়ে আমি গেছি, বহু পাহাড়ী নদী তে আমি নেমেছি, পা-ডুবিয়ে জল নিয়ে খেলা করেছি, কিন্তু সেই গন্ধ আর কখনো পাই নি। উত্তর পূর্ব ভারতের বহু জায়গায় আমি গেছি, অনেক দিন করেই থেকেছি, বহু মানুষের সাথেই মিশেছি, এক অকৃত্রিম মেলামেশায় মানুষগুলো আপন হয়ে যায়, আর ফেলে রেখে যায় তাদের গন্ধ। মিজো 'মিজেল' এর গন্ধ (মিজোরামের লোকাল বিড়ি) তখন কি কষ্ট দিতো আমায় পাশাপাশি কেউ খেলে আর আজ কোথাও যদি ভিজে তামাকের গন্ধ পাই, মনে পড়ে যায় সেই গন্ধ, ভেসে ওঠে কত গল্প, কত চরিত্র। এই গন্ধ ই কত দূরত্ব কমিয়ে দেয়, একাত্ম করে দেয় আমাদের।
আবার উত্তর ভারতের কিছু অংশে (যাকে গো-বলয় বলা হয়) থাকার সুবাদে আমি বেশ কিছু গন্ধ নিজের করে ফেলেছি। আজ প্রায় পনেরো বছরের বেশী সময় ছেড়ে এলেও আজও মাঝে মাঝে মেহেদী-বাগানের বিহারী দোকানে দই কিনতে গিয়ে কানপুরের শুদ্ধ ভোজনালয়ের গন্ধ পাই। ওখানের কেনা টক দই এ গোয়ালটুলির রামুদার দোকানের গন্ধ পাই। ফিরে চলে যাই যেন সেই ফেলে আসা পথ দিয়ে। বিকালের আদা চা এর গন্ধ, গুজিয়ার মিষ্টি গন্ধ, কচুরীর গন্ধ, সব মনে পড়ে যায়। এরপরও বহুবার উত্তর ভারতের বহু শহরে ঘুরে বেড়ালেও আমি সেদিনের সেই সব গন্ধগুলো আর এক সাথে ফিরে পাই নি। তবে আলাদা আলাদা ভাবে যখনই কোনো গন্ধ পেয়েছি তখনই কেমন নিজের বলে মনে হয়েছে।
অনেকক্ষন অনেক গন্ধ নিয়ে ভেবে চলেছি। আসলে হয়েছে কি, বেশ কিছুদিন যাবৎ ঠান্ডায় নাক বন্ধ থাকার পর, একটু ঠিক হতেই সব রকম সব গন্ধগুলো যেন আবার পেতে শুরু করেছি। একসময় প্রতিটা গন্ধ আমি এতো নিখুঁত ভাবে পেতাম বা বুঝতে পারতাম যে আমাদের বাড়িতে তো কোনো তরকারি খারাপ হয়েছে কিনা, ফেলে দিতে হবে কিনা সেটাও মা আমায় জিজ্ঞাসা করতো। দিনের পর দিন খেয়াল করি যে এই সব গন্ধ সুক্ষ ভাবে পাবার অনুভূতিটা যেন কেমন কমতে শুরু করেছে আজকাল। প্রতিটা রান্না করা বা কাঁচা সবজির গন্ধ আমি অনেকদিন আগে থেকেই আলাদা করে বুঝতে পারি, আমি ভালোবাসি সেই গন্ধগুলো উপভোগ করতে। শুধু মশলার গন্ধ নয়, সবজির আলাদা গন্ধ আমার খিদে জাগায়। নিরামিষ খিচুড়ি আর সব সবজির ঘন্ট আমার প্রিয় খাবার গুলোর একটা। আমি বিরিয়ানি মশলার গন্ধ উপভোগ করি যেমন, একই ভাবে খিচুড়ির মধ্যে দেওয়া গোটা সেদ্ধ পেয়াঁজও আমার রসনাকে তৃপ্ত করে।
আমার বিদেশী অনেক বন্ধুকে দেখি রেস্টুরেন্টে হোক বা বাড়ীতে হোক, খেতে বসে কোন রান্নার সমস্ত মশলা বা সবজির গন্ধগুলো বুঝতে চেষ্টা করে, কিছুটা পারে কিছুটা পারে না। বিশেষ করে আমাদের রান্না করা সুক্তো বা চিকেন ভর্তার কোন মশলা যেখানে বাড়ী বদলের সাথে সাথে বদলে যায়, সেখানে ওদের নরম-সরম নাকে তা ধরবে কি করে। আমিও চেষ্টা করতাম এই একইভাবে সব গন্ধগুলো বুঝে নিতে। পারতাম, কখনো বা পারতাম না। তারপরেও এই গন্ধের অনুভূতি আর তার শারীরিক প্রতিক্রিয়া আমার কাছে বেশ মজার খেলা। আমার এক বিদেশী বন্ধু আমায় বিদেশে থাই রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথম পদ থেকে শেষ পদ পর্যন্ত আমি শুধু ঝাল আর তুলসী পাতার গন্ধ পেয়েছিলাম। থাকতে না পেরে একসময় যখন সেই রেস্টুরেন্টের সেফ এর সাথে কথা বললাম, জানতে পারলাম সত্যিই উনি খাবারে তুলসী পাতা ব্যবহার করেছেন। ভাবা যায়, আজন্ম লালিত তুলসী পাতা যা শুধু ঠান্ডা লাগলে মধু দিয়ে ছোটবেলায় খাওয়ানো হয়েছে, সেই তুলসী পাতা দেওয়া চিকেন। কালচারাল শক‌্, হয়েছিল হয়তো, তবে আমি সেদিন বুঝেছিলাম সব গন্ধের সাথে মিশে থাকা আমার সব গল্পও সময়ের সাথে সাথে স্থানভেদে পাল্টে যায়। আমার আর এক বান্ধবী তো গন্ধ নিয়ে এতটাই অনুভূতিপ্রবণ যে আমি খুব ভয়েই থাকি শুধু ওর একটা কথার জন্য। ও বলে, 'আমি হলাম কুকুরের মতো, তুই যদি কোন খারাপ কাজ করিস বা কোনো ভালো কাজ করিস সবই আমি তোর পাশে বসে তোর গন্ধতেই বুঝে যাবো'। বোঝা যায় কি? হয়তো বা যায়! গন্ধ এতদূর পর্যন্ত মানুষ চিনতে পারে কিনা সে দেখার সাহস আর আমি করি নি। ওর সাথে দেখা করার দু-দিন আগে থাকতেই আমি সব সময় আমার খারাপ কাজ গুলো বন্ধ করে দিতাম, সে কাওকে বাজে কথা বলা হোক বা ভিখারী কে ভিক্ষা না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হোক।
যাক, আর গন্ধ নিয়ে ভেবে কি করবো। শুধু জানি ভালোবাসার গন্ধ যেমন আলাদা ঠিক তেমন করেই সুখী থাকার গন্ধও আলাদা। তোমায় শুধু অনুভব করতে হবে প্রতিটা গন্ধ। অনেকদিন আগে শুনেছিলাম এই ব্লুজ, একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। গন্ধ পেয়েছিলাম কি সেই সময়? মনে নেই। তবে আজ শুনতে শুনতে সেই দিনের গন্ধ পেলাম।
Happiness has a smell I inhale
Like a drug done in a darkened hall
Or a bathroom stall with a friend or a man with a hard on
('Smells Like Happiness' ,The Hidden Cameras)
**কেন লিখলাম এরকম এক লেখা? লিখলাম, কারণ আমার মতো করেই একজন বললো সেও নাকি এরকম ভাবেই গন্ধ পায়, যা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা গলিপথে। ভিজে যায় তার চোখের পাতা, আনন্দে, দুঃখে, ভালোবাসায় আরো কত বলতে না পারা অনুভূতিতে। তাই তার জন্যই।।

 13/01/2019

Comments

Popular Posts